২০২৪ সাল থেকে শুরু হওয়া সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, ২০২৫ সালে এসে আরও বিস্তৃত এবং আধুনিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখন দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এই প্রশিক্ষণ সহজলভ্য।বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে কাজের ও ব্যাপক পরিবর্তন ঘটছে, ইন্টারনেট বৃদ্ধির সাথে সাথে কাজের ধরন ও পদ্ধতি বদলে গেছে, এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনের কাজের চাহিদা সারা বিশ্বে বাড়ছে, এখন বাংলাদেশেও ফ্রিল্যান্সিং তরুণদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আয় ও কর্মসংস্থার মাধ্যম হচ্ছে, এজন্য সরকার দেশের তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য ''সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ'' প্রধান করে, ২০২৪ সালে যেমন সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ছিল, ২০২৫ সালে এই প্রশিক্ষণ আরও বড় পরিসরে হচ্ছে. আমাদের এই পোস্টে সরকারি ফ্রিল্যান্সিং ২০২৪। প্রশিক্ষণ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাংলাদেশে কিভাবে তরুণদের আয়ের মাধ্যম হতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানব
📌সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ২০২৫| কেন গুরুত্বপূর্ণ?
বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রযুক্তির পরিবর্তন খুব দ্রুত গতিতে ঘটছে, এজন্য ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি মাধ্যম যেখানে একজন কর্মী তার পছন্দের সময় ও স্থানে বসে অনলাইনে কাজ করতে পারে, এক্ষেত্রে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে প্রয়োজনে স্কিল ও সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাটা জরুরী, সেজন্য বাংলাদেশ সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ের দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বাংলাদেশের সরকারি ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে আধুনিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, সহ বিভিন্ন স্কিল শেখানো হয় যার ফলে একজন শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রমাণ করতে পারে
বিনামূল্য ও সাশ্রয়ী প্রশিক্ষণের সুযোগ
এখন বর্তমানে অনলাইনে অনেক ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ পাওয়া যায় কিন্তু তা অধিকাংশই ব্যয়বহুল ও খুব সীমিত সুযোগ প্রদান করে, সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে পরিচালিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো সাধারণত বিনামূল্যে বা অন্তত কম খরচে আপনাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে, এই ধরনের প্রশিক্ষণ দরিদ্র মধ্যবিত্ত ও মেহনতী তরুণদের একটি বড় সুযোগ যেখানে খরচ না করে তারা নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে সরকারিভাবে যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী সার্টিফিকেট অর্জন করে যা কোন শিক্ষার্থীর জন্য প্রফেশনাল ভাবে একটি স্বীকৃতি, এই সার্টিফিকেট তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে এবং মার্কেটপ্লেসে তাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়,
কর্মসংস্থানে সংকট দূরীকরণ
বর্তমান সময়ে চাকরির অভাব একটি বড় সমস্যা যার ফলে প্রতিবছর লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী চাকরিতে প্রবেশ করে কিন্তু যথেষ্ট কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের চাকরি পেতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়, তাই সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মসংস্থানের পথ খুলে দেওয়া হয়েছে, এতে যারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ তরুণী তারা freelancer হিসেবে প্রথমে কাজ শুরু করতে পারে এবং তাদের পশু তৈরি করতে পারে, এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অনেক শিক্ষার্থীর জন্য প্রশিক্ষণের পর সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে যা দেশের অর্থনীতির একটি বড় অবদান রাখে,
দক্ষতা নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলা
বর্তমানে সারা বিশ্বে কেবল পণ্যর উপর অর্থনীতি নির্ভর নয়, বরং দক্ষতা ও সেবা প্রধানের গুরুত্ব অনেক বেশি বাংলাদেশের জন্য দক্ষতা নির্ভর অর্থনৈতিক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি মূল উদ্দেশ্য
সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণকরে যার মাধ্যমে প্রযুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায় যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে, ফ্রিল্যান্সাররা যেমন বিদেশ থেকে আয় করে রেমিটেন্স আকারে আনে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায় এবং দেশের উন্নতির কাজে সাহায্য করে
ব্যক্তিগত ও পেশাদার উন্নয়ন
বর্তমানে সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ২০২৫| শুধুমাত্র কাজ শেখানোর জন্য নয় পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্য আত্মবিশ্বাস ও সময়ের সাথে সাথে যোগাযোগ দক্ষতা ও ব্যবসার চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি করে, এই প্রশিক্ষনের মাধ্যমে একজন তরুণ তরুণী নিজেকে অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে এবং তার স্বাধীনভাবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে, অনেক সময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিজস্ব ব্যবসা শুরু করে বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ফার্ম গঠন করে, যা দেশের উদ্যোক্তাদের মনোভাবকে অনেক বেশি উৎসাহিত করে তোলে,
আন্তর্জাতিক কর্ম ক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ
ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি বিষয় যা আপনাকে সারা বিশ্বে কাজ করার সুযোগ করে দেবে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেটে যেমন (Fiverr, Upwork, Freelancer) ফ্রিল্যান্সারে কাজ পেতে দক্ষতা ও নির্ভরযোগ্য প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, তাই সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কাজ শিখে তারপরে মার্কেটপ্লেসে প্রবেশ করে, এতে দেশের তরুণরা সারা বিশ্বের অর্থনীতির অংশীদার হয় এবং দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি করে
প্রযুক্তিগত বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সুযোগ
বর্তমানে টেকনোলজি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম ও বিভিন্ন কৌশল তৈরি হচ্ছে, সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিনিয়ত কোর্স আপডেট করে যাতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা সর্বশেষ যে প্রযুক্তি থাকে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, এই নিয়মিত থাকার কারণে প্রশিক্ষণ প্রার্থীরা প্রতিযোগিতা মূলক মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে পারে এবং নতুনরা আবার সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারে,
নারী ও তরুণদের ক্ষমতায়ন
বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং নারীদের জন্য একটি নিরাপদ উৎস, সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন নারী তার নিজ বাড়িতে বসে আয় করতে পারে, যা তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে, এছাড়া তরুণ তরুণীরা তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার ও জীবনের স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হয়,
সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান
প্রিন্সিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন ফলে আপনার পারিবারিক আর্থিক অবস্থা উন্নতি হতে পারে যা দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিক থেকে অনেক সাহায্য করে, সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীরা কাজ শেখার পরে তারা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করে, ফলে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুধু ব্যক্তিগত নয় বরং দেশের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ,
স্থায়ী ক্যারিয়ার বিকাশের সুযোগ
ফ্রিল্যান্সিং এটি শুধু সাময়িক আয় নয়, বরং একটি স্থায়ী ক্যারিয়ারের একটি মাধ্যম, সরকারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণ তরুণীরা একটি দীর্ঘমেয়াদী ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে যেটা তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলে, তাদের জন্য নিয়মিত আপডেট ওয়েবিনার ও পরামর্শ সেবা সরবরাহ করা হয় যা তাদের কেরিয়ার উন্নয়নের অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা রাখে
📚 কী শেখানো হয় এই কোর্সে?
বাংলাদেশ সরকারের আওতায় পরিচালিত ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণে নিচের বিষয়ের উপর দক্ষতা দেওয়া হয়:- Graphic Design
- Web Design & Development
- SEO (Search Engine Optimization)
- Content Writing
- Video Editing & Animation
- CPA Marketing
🏢 কোন কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়?
১. ICT Division (LICT & Learning & Earning Project)
- ওয়েবসাইট: https://ictd.gov.bd/
- কোর্স: Graphics, Web Development, Digital Marketing
- আবেদন: অনলাইনে ফর্ম পূরণ করে
২. Bangladesh Computer Council (BCC)
ওয়েবসাইট: https://bcc.gov.bd
সুবিধা: জেলায় জেলায় ট্রেনিং সেন্টার
৩. Skills for Employment Investment Program (SEIP)
ওয়েবসাইট: https://seip-fd.gov.bd প্রশিক্ষণ: Outsourcing ও Freelancing স্কিল ট্রেনিং পরবর্তী চাকরির সুযোগও রয়েছে৪. Department of Youth Development (DYD)
ওয়েবসাইট: https://www.dyd.gov.bd কোর্স: Basic Outsourcing & Freelancing৫. Karmasangsthan Bank & PKSF প্রকল্প
উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং শেখানো হয়কিভাবে আবেদন করবেন সরকারি ভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ ২০২৫
আপনি যদি সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের অংশ নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে যেমন প্রথম ধাপ হল সঠিকভাবে আবেদন করা, এছাড়া বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্পের মাধ্যমে তরুন তরুণীদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য একটি সুযোগ প্রদান করছে, কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কোথায় আবেদন করবেন আবেদন করতে কি কি দরকার কিভাবে আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করবেন আমরা আপনাকে এই পোস্টে সম্পূর্ণ বিস্তারিত গাইলেন দিয়ে দিব
1. আবেদন করা উপযোগী সরকারি সংস্থাগুলো ও প্রকল্প
সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বিভিন্ন সময় আবেদন গ্রহণ করে আমরা এখানে নিজের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আলোচনা করুন
- ICT Division (LICT & Learning & Earning Project)
- Bangladesh Computer Council (BCC)
- Skills for Employment Investment Program (SEIP)
- Department of Youth Development (DYD)
- Karmasangsthan Bank ও PKSF প্রকল্প
২. আবেদন করার ধাপসমূহ
ধাপ ১: প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করুন
আবেদন করার জন্য কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন আপনি তা প্রস্তুতি রাখুন যেমন:
- পূর্ণ নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- জন্মতারিখ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর
- শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সংশ্লিষ্ট সনদপত্র
- বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি (যদি থাকে)
- ছবি (পাসপোর্ট সাইজ) ও সিগনেচার স্ক্যান কপি
- অতীতের কোনো প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতার তথ্য (যদি থাকে)
ধাপ ২: সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ
প্রথমে আপনি প্রশিক্ষণের জন্য যে সংস্থায় আবেদন করতে চান, সেই সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন, এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার অফিশিয়াল সাইটের লিংক দেওয়া হল:
আপনি এই প্রতিটি ওয়েব সাইটের হোমপেজে সাধারণত Apply Now”বা রেজিস্ট্রেশন এর মত অপশন থাকে আপনি সেখানে ক্লিক করুন
ধাপ ৩: আবেদন ফর্ম পূরণ করা
আপনি এই সাইটের যেকোনো অনলাইন ফর্ম পূরণ করার সময় নিচের বিষয়গুলো মাথায় রাখুন :
- সঠিক তথ্য ও স্পষ্ট ভাবে লিখুন, আপনি যদি তথ্য ভুল দেন তাহলে আপনার আবেদনটি বাতিল হতে পারে
- যদি কেউ আবেদন করে তাহলে আবেদনকারীকে তার নির্ধারিত যে সমস্ত তথ্য আছে তা দিতে হবে যেমন শিক্ষা গত যোগ্যতা মোবাইল নাম্বার ইত্যাদি,
- এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও স্বাক্ষর দিয়ে তা সঠিক ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে, যেমন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে JPG বা PNG ফাইল গ্রহণ করে
- কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষা বা জাতীয় সনদপত্রের কপি দিতে হতে পারে সেগুলো প্রস্তুত রাখবেন
- বিভিন্ন সংস্থার আবেদন ফি হিসেবে যে টাকা আসবে সেটা আপনাকে পরিশোধ করতে হবে তবে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ বিনামূল্য বা খুব কম ফিতে দেওয়া হয়
ধাপ ৪: আবেদন জমা দেওয়া
এসব তথ্য যাচাই করার পর নির্দিষ্ট ফি প্রদান করে আপনার আবেদন সাবমিট করুন, সাবমিট করার পর একটি নিশ্চিত করার জন্য আপনার ইমেইলে একটা কনফারমেশন মেসেজ আসবে
ধাপ ৫: আবেদন স্থিতি পর্যবেক্ষণ
অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যে আবেদন করার পর স্থিতি চেক করার সুবিধা থাকে Login করে আপনি আপনার আবেদন স্ট্যাটাস দেখতে পারেন অথবা আপনার কোন বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করুন,
ধাপ ৬: সাক্ষাৎকার বা লিখিত পরীক্ষা
তবে এখানে কিছু ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের আগে আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার কিংবা লিখিত পরীক্ষা দিতে হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনার সময় মত অংশগ্রহণ করুন
ধাপ ৭: প্রশিক্ষণ শুরু
আপনি যদি সফলভাবে নির্বাচিত হন তাহলে আপনাকে প্রশিক্ষণ তারিখ ও সময় জানিয়ে দিবে অনলাইনে বা নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করুন
আবেদন করার সময় কী কী বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে?
আপনি যখন আবেদন করবেন তখন আপনাকে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে এখানে কিছু সতর্ক বার্তা দেওয়া হল:
- ঠিক সময় আবেদন করুন: সরকারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের শেষের যে তারিখ সেটা মিস করবেন না, কারণ আবেদনের তারিখ শেষ হয়ে গেলে আপনার আবেদনটি আর গ্রহণযোগ্য হবে না কেননা অনেক সময় দেখা যায় আমি তো শুরু হলে খুব দ্রুত ভর্তি পূরণ হয়ে যায়,
- সঠিক তথ্য প্রদান করুন: আপনি যদি সঠিক তথ্য না দিয়ে ভুল তথ্য প্রদান করেন তাহলে আপনার আবেদনটি স্বাভাবিকভাবে বাতিল হবে
- আপনার সঠিক ডকুমেন্ট দিন: আপনার যেসব ডকুমেন্ট আছে তা প্রধান করুন যেমন ছবি, সিগনেচার, জাতীয় সনদপত্র, ইত্যাদি দিন এগুলো ভুল দিলে আপনার আবেদনটি বাতিল হওয়াটা স্বাভাবিক
- ফি প্রদান করা: যদি আপনি এমন কোন সংস্থায় আবেদন করেন যেই সংস্থায় আবেদন করার জন্য ফি নেওয়া হয় তাহলে সেখানে আপনার ফি নির্ধারিত সময় প্রদান করুন,
- যোগাযোগের জন্য আপনার আপডেট মোবাইল নাম্বার দিন
- আপনি যে সংস্থায় আবেদন করতে চাচ্ছেন সেই সংস্থার বিষয়ে তাদের অফিসিয়াল সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে তাদের সম্পর্কে তথ্য নিন তাহলে আপনি ফেক ওয়েবসাইট বা অন্তত বিভ্রান্ত হবেন না.
৪. অফলাইন আবেদন কেমন হয়?
বর্তমানে অনেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রর আবেদন অনলাইনে হয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অফিস বা সরকারি কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি আবেদন ফরম পূরণ করতে হতে পারে নিচে অফলাইন আবেদনের সময় ও কি কি লাগে সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো:
- নিকটবর্তী অফিস থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করুন
- আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রয়োজনে কাগজপত্র প্রদান করুন
- যদি নির্ধারিত কোন ফ্রি থাকে তাহলে সেটি প্রধান করুন
- আবেদন করার পূর্বে অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদন জমা দিন
- পরিশেষে আপনাকে একটি প্রাপ্ত রশির দেওয়া হবে আপনি সেটি সংরক্ষণ করুন
আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
আপনি যদি সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের আবেদন করতে চান তাহলে আপনার নিশ্চয়ই যোগ্যতাগুলো থাকতে হবে:
- বয়স: কমপক্ষে 18 থেকে 35 বছরের হতে হবে কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটা ভিন্ন হতে পারে
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি বা এইচ এস সি পাশ হতে হবে
- কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে কাজ করার আগ্রহী বা িক সাধারণ জ্ঞান থাকতে হবে
- বাংলাদেশের নাগরিকত্ব যাচাই করার জন্য এনআইডি কার্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক
সরকারি প্রশিক্ষণের আবেদন সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন:
- প্রশ্ন: আবেদন ফি কত হতে পারে
- উত্তর: বাংলাদেশে বেশিরভাগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিনামূল্যে সার্ভিস প্রদান করে কিছু ক্ষেত্রে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি থাকতে পারে
- প্রশ্ন: আবেদন করতে হলে কি কম্পিউটার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
- উত্তর: না কম্পিউটারের সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন নেই শুধু বেসিক কম্পিউটার জ্ঞান থাকাটা ভালো তবে প্রশিক্ষণ শেখানো হয়
- প্রশ্ন: আবেদন করার পর কতদিন কোর্স করতে হয়
- উত্তর: সাধারণত আবেদন করার 15-30 দিনের মধ্যে কো শুরু হয়
আবেদন সংক্রান্ত সাহায্য কোথায় পাবেন?
আপনি আবেদন করতে চাচ্ছেন কিন্তু আবেদন সংক্রান্ত বিষয় গুলোর জন্য আপনি সাহায্য কোথা থেকে পাবেন নিচে কিছু বিষয় উল্লেখ করা হলো:
- নিকটবর্তী সরকারি ওয়েবসাইটের হেল্প ডেক্স এ যোগাযোগ করুন
- অফিসে যোগাযোগ করুন
- ফেসবুক গ্রুপ বা ফোরাম যেখানে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়
- ভিডিও টিউটোরিয়াল ও ব্লগ যেখানে সরকারের আবেদন প্রক্রিয়া দেখায়
✔️ জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস:
- Fiverr
- Upwork
- Freelancer
- PeoplePerHour
- Toptal
- Guru
✔️ কাজের ধরন:
- Logo Design, Business Card
- Web Development (HTML, WordPress)
- Facebook Ad Campaign
- SEO Content Writing
- Data Entry, Lead Generation
✔️ পেমেন্ট পদ্ধতি:
- Payoneer
- Bank Transfer
- Wise
- Skrill